Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

অফিস সম্পর্কিত


 পরিচিতিঃ

 

সংক্ষেপে খাদ্য অধিদপ্তর

 

খাদ্য অধিদপ্তর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত একমাত্র সংস্থা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতিতে অবিভক্ত বাংলায় উদ্ভূত ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ (Great Famine) মোকাবেলায় বর্তমানের খাদ্য অধিদপ্তর ঐ সময়ে  সিভিল সাপ্লাই বিভাগ নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত বিভক্ত হলে খাদ্য ও বেসামরিক সরবরাহ (Food & Civil Supply Dept.) বিভাগ নামে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যাত্রা শুরু করে। ১৯৫৭ সালে খাদ্য বিভাগের স্থায়ী কাঠামো প্রদান করা হলেও প্রশাসন, সংগ্রহ, সরবরাহ, বন্টন ও রেশনিং, চলাচল ও সংরক্ষণ, পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ, হিসাব ও অর্থ ইত্যাদি পরিদপ্তর পৃথকভাবে কার্য সম্পাদন অব্যাহত রাখে। ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রমের ফলে ৬টি পরিদপ্তর একীভূত হয়ে পুনর্গঠিত খাদ্য অধিদপ্তর (Directorate General of Food) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। নববইয়ের দশকের শেষভাগে প্রশিক্ষণ নামে নতুন একটি বিভাগ খাদ্য অধিদপ্তরে সংযোজিত হয়।

 

মহাপরিচালক খাদ্য অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহী হিসেবে সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন। একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশনাল কর্মকান্ডে মহাপরিচালককে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন। মহাপরিচালকের বিভিন্নমুখী কর্মকান্ডের জন্য অধিদপ্তরের ৭টি বিভাগে ৭ জন পরিচালক নিয়োজিত আছেন। খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ পরিচালকবৃন্দের অধীনে অর্পিত নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পাদন করেন।

 

মাঠ পর্যায়ে খাদ্য ব্যবস্থাপনার সার্বিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য দেশের প্রশাসনিক বিভাগের সাথে সঙ্গতি রেখে সারা দেশকে ৭টি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। অঞ্চল তথা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অধীনে জেলাসমূহের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ। প্রতি উপজেলায় ১ জন করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিয়োজিত আছেন। দেশজুড়ে মোট ৫টি সাইলো, ১৩টি সিএসডি এবং ৬৩১টি এলএসডি আছে। এসকল খাদ্য গুদামের বর্তমান কার্যকরী ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১৯.৫০ লক্ষ মে: টন। সারা দেশের কৌশলগত স্থানে সাইলো, সিএসডি এবং দেশের প্রায় সকল জেলা-উপজেলায় কমপক্ষে ১টি এলএসডি, গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় দুই বা ততোধিক এলএসডি’র মাধ্যমে খাদ্য ব্যবস্থাপনার প্রশাসনিক ও অপারেশনাল কার্যাবলি সম্পাদন করা হয়।

 

      কার্যাবলিঃ


 খাদ্যশস্যের বাজারদর পর্যবেক্ষণ ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ।·       

সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান,গম ও মিলারের কাছ থেকে চাল ক্রয় এবং  মুল্য পরিশোধ।·       

খাদ্যশস্যের বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ওএমএস/ফেয়ার প্রাইস কর্মসূচীর মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে চাল/গম বিক্রয়।·       

বিভিন্ন ধরনের জরুরী ও অতি জরুরী গ্রাহকের নিকট খাদ্যশস্য বিক্রয়/বিতরণ।·         

কাবিখা, টি.আর, জি.আর, ভিজিডি, ভিজিএফ ইত্যাদি কর্মসূচীতে খাদ্যশস্য বিতরনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুকূলে ডিও ইস্যু ও খাদ্যশস্য সরবরাহ।·    

আটাচাক্কি ও খাদ্যশস্যের খুচরা ব্যবসায়ীকে লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন এবং তাদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ।·        

কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা ধান থেকে স্থানীয় মিলারদের মাধ্যমে চাল উৎপাদন ।·        

গুদামে সংরক্ষিত খাদ্যশস্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা বিধান ।·        

বিভিন্ন চ্যানেলে বিক্রয়/সরবরাহকৃত খাদ্যশস্য ও মূল্যের হিসাব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ।·        

বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রীর মূল্য চালানের মাধ্যমে আদায় নিশ্চিতকরণ ।·        

ডিলার কর্তৃক ফেয়ার প্রাইস কার্ড বা মাষ্টাররোলের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী বিক্রয় তদারকী ও নিশ্চিতকরণ·           

স্থানীয় গুদামে সংগৃহিত খাদ্যশস্য প্রয়োজনবোধে অন্যত্র স্থানামত্মরের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জ্ঞাত   করান এবং প্রচেষ্টা চালান।·           

গুদামে মজুদের পরিমান লক্ষ্য রাখা এবং প্রয়োজনে মজুদ বৃদ্ধির জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সময়মত জানানো এবং ব্যবস্থা গ্রহণ।·           

বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট-রিটার্ণ দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকের নিকট প্রেরণ।·        

এছাড়াও সময় সময় বিভাগীয় ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত জরুরী দায়িত্ব পালন।